Page Nav

HIDE

Classic Header

{fbt_classic_header}

NEW :

latest

গদ্য ও প্রবন্ধ সাহিত্যে জগদীশচন্দ্র বসুঃ

ভারতের প্রথিতযশা বিজ্ঞানী হলেন জগদীশচন্দ্র বসু। জন্ম ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দের ৩০ নভেম্বর বর্তমান বাংলাদেশের ময়মনসিংহে। পিতা হলেন ভগবানচন্দ্র বসু ...


ভারতের প্রথিতযশা বিজ্ঞানী হলেন জগদীশচন্দ্র বসু। জন্ম ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দের ৩০ নভেম্বর বর্তমান বাংলাদেশের ময়মনসিংহে। পিতা হলেন ভগবানচন্দ্র বসু এবং মাতার নাম হল বামাসুন্দরী দেবী। ১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষা, ১৮৭৭ খ্রিস্টাব্দে আই.এ., ১৮৮০ খ্রিস্টাব্দে বি.এ. পাশ করার পর ১৮৮৪ খ্রিস্টাব্দে বিদেশ যাত্রা করেন এবং বি.এস.সি. পাশ করেন লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দের কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে অধ্যাপক হিসাবে যোগদান করেন। ১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট উপাধি পান। ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে 'বসু বিজ্ঞান মন্দির' প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে সয়াজীবাবু গায়কোয়াড পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দের ২৩ নভেম্বর বিহারের গিরিডিতে তিনি মারা যান। 

রচনাসমূহঃ
       বিজ্ঞানাচার্য জগদীশচন্দ্র বসু বেশ কিছু প্রবন্ধগ্রন্থ লিখে বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছেন। ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে তাঁর প্রথম গ্রন্থ 'Response in the living and non living' প্রকাশিত হয়। 


ইংরাজি রচনাঃ
(i) Responses in the Living and Non-living (১৯০২)
(ii) Plant Responses as a Means of Physiological Investigations (১৯০৬)
(iii) Comparative Electrophysiology (১৯০৭)
(iv) Physiology of the Asent of Sap (১৯২৩)
(v) Physiology of Photosynthesis (১৯২৪)
(vi) Nervous Mechanism of Plants (১৯২৫)
(vii) Collected Physical Papers (১৯২৭)
(viii) Motor Mechanism of Plants (১৯২৮)
(ix) Growth and Tropic Movement in Plants (১৯২৯)

বাংলা রচনাঃ
          তাঁর উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধগ্রন্থ হল---
(a) 'অব্যক্ত' (১৩২৮ বঙ্গাব্দ / ১৯২১ খ্রিষ্টাব্দ), '
(b) প্রবন্ধাবলী' (১৩৪০ বঙ্গাব্দ / ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দ)।

আলোচনাঃ
(a) 'অব্যক্ত' ঃ
➤ বইটি ‘বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ’ থেকে ১৩২৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রথম প্রকাশিত হয় । 
➤ গ্রন্থটি কুড়িটি প্রবন্ধের সংকলন। 
➤ প্রবন্ধগুলি হল ---‘যুক্তকর’, ‘আকাশ-স্পন্দন ও আকাশ-সম্ভব জগৎ’, ‘গাছের কথা’, ‘উদ্ভিদের জন্ম ও মৃত্যু’, ‘মন্ত্রের সাধন’, ‘অদৃশ্য আলোক’, ‘পলাতক তুফান (নিরুদ্দেশের কাহিনী)’, ‘অগ্নি পরীক্ষা’, ‘ভাগীরথীর উৎস-সন্ধানে’, ‘বিজ্ঞানে সাহিত্য’, ‘নির্ব্বাক জীবন’, ‘নবীন ও প্রবীণ’, ‘বোধন’, ‘মনন ও করণ’, ‘রাণী সন্দর্শন’,‘নিবেদন’, ‘দীক্ষা’, ‘আহত উদ্ভিদ’, ‘স্নায়ুসূত্রে উত্তেজনা-প্রবাহ’,‘হাজির’ ।
➤ ‘ভগীরথীর উৎস সন্ধানে' প্রবন্ধে জলীয় পদার্থের বিবর্তনধারা আলোচিত হয়েছে। 
➤  এই গ্রন্থের কতকগুলি প্রবন্ধ বৈজ্ঞানিক চিন্তার ফল।
➤ এই গ্রন্থের কতকগুলি প্রবন্ধ ‘মুকুল’, দাসী’, ‘প্রবাসী’, ‘সাহিত্য’ এবং ভারতবর্ষ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল।
➤ ‘অব্যক্ত' পড়ে রবীন্দ্রনাথ জগদীশচন্দ্রকে জানিয়েছেন, “তোমার “অব্যক্ত'র অনেক লেখাই আমার পূর্বপরিচিত এবং এগুলি পড়িয়া বারবার ভাবিয়াছি যে, যদিও বিজ্ঞানবাণীকেই তুমি সুয়োরানী করিয়াছ তবু সাহিত্য সরস্বতী যে পদের দাবী করিতে পারিত, কেবল তোমার অনবধানেই সে অনাদৃতা হইয়া আছে’’ ।


(b) প্রবন্ধাবলীঃ
➤ বইটি  ১৩৪০ বঙ্গাব্দ / ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দ প্রকাশিত হয় । 
➤  ‘প্রবন্ধাবলী'র লেখক হিসাবে জগদীশচন্দ্র বসুর সঙ্গে লেডী বসুর নাম পাওয়া যায়। 
➤ প্রবন্ধাবলী'র বেশীরভাগ রচনাই প্রকাশিত হয় 'মুকুল' পত্রিকায়। 

No comments