Page Nav

HIDE

Classic Header

{fbt_classic_header}

NEW :

latest

ভাগবতের প্রথম অনুবাদক মালাধর বসুঃ

  রামায়ণ, মহাভারতের মতো ভাগবতের অনুবাদ মধ্যযুগে জনপ্রিয়তা লাভ করতে না পারলেও মালাধর বসুর মতো ব্যক্তিত্বের আবির্ভাব হয়েছিল ভাগবত অনুবাদের ...

 


রামায়ণ, মহাভারতের মতো ভাগবতের অনুবাদ মধ্যযুগে জনপ্রিয়তা লাভ করতে না পারলেও মালাধর বসুর মতো ব্যক্তিত্বের আবির্ভাব হয়েছিল ভাগবত অনুবাদের ক্ষেত্রে। চৈতন্য আবির্ভাবের পূর্ব থেকেই নামবাদ ও ভক্তিরস বাঙালির মনে স্থায়ী আসন অধিকার করছিল। কিন্তু চৈতন্যদেবের আগমনে কৃষ্ণ প্রেমাশ্রিত ভাগবত কথা জনসমাজে বেশি করে প্রচারিত হওয়ার সুযোগ পায়। ভাগবতের অনুবাদক হিসেবে মালাধর বসুই সর্বাধিক খ্যাতি পেয়েছেন।

জন্ম পরিচয়ঃ
        ভাগবতের প্রথম অনুবাদক হলেন মালাধর বসু । কবির জন্ম সন , তারিখের সঠিক কোনো তথ্য আমরা পাই না , অনুমান করা হয় তিনি পঞ্চদশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধের লোক ছিলেন । কবির জন্ম বর্ধমানের কুলীন গ্রামের বিখ্যাত কায়স্থ বংশে । পিতা - ভগীরথ, মাতা - ইন্দুমতী । কবির পুত্র - সত্যরাজ খান বা রামানন্দ বসু ছিলেন শ্রীচৈতন্যের ভক্ত ও পার্ষদ ।

উপাধি দানঃ
        মালাধর বসুর সময় গৌড়ের সুলতান ছিলেন রুকনুদ্দিন বারবক শাহ (১৪৫৯ - ৭৪) । ইনিই মালাধর বসুকে ‘গুনরাজ খাঁ’ উপাধি দিয়েছিলেন ।
        আবার অনেকে মনে করেন সামসুদ্দিন ইউসুফ শাহ কবিকে ‘গুনরাজ খাঁ’ উপাধি দান করেছিলেন ।

কাব্যের নামকরণঃ
        কাব্যের নামকরণ নিয়ে নানা বিতর্ক আছে । গ্রন্থের নাম কোথাও কোথাও ‘গোবিন্দ বিজয়’ বা ‘গোবিন্দ মঙ্গল’ নামে উল্লিখিত হয়েছে । আবার কোথাও কোথাও কাব্যের নাম রয়েছে ‘শ্রীকৃষ্ণ বিজয়’ । কবি কৃষ্ণদাস কবিরাজের ‘চৈতন্য চরিতামৃত’ ও জয়ানন্দের ‘চৈতন্যমঙ্গল’ কাব্যে ‘শ্রীকৃষ্ণ বিজয়’ নামটির উল্লেখ পাওয়া যায় । তবে ‘শ্রীকৃষ্ণ বিজয়’ নামটিই সমধিক পরিচিত ।


কাব্যের অর্থঃ
        ‘শ্রীকৃষ্ণ বিজয়’ কাব্যের ‘বিজয়’ শব্দের অর্থ কি তা নিয়ে বিভিন্ন জন বিভিন্ন মত পোষণ করেছেন । কারো কারো মতে ‘বিজয়’ শব্দের অর্থ ‘মৃত্যু বা শোভাযাত্রা, আবার কেউ কেউ বলেন ‘বিজয়’ শব্দের অর্থ দেবতার শোভাযাত্রা বা বিজয় গৌরব । অন্যদিকে ‘গোবিন্দ মঙ্গল’ কথাটি বোধহয় দেবতার গৌরব প্রচারের প্রতীক রূপে ব্যবহৃত হয়েছে ।

কাব্য রচনাকালঃ
        কাব্য রচনাকাল হিসাবে মালাধর বসু নিজেই একটি তথ্য উল্লেখ করেছেনঃ
‘‘ তেরশো পঁচানই শকে গ্রন্থ আরম্ভন ।
চতুর্দশ দুই শকে হইলা সমাপন ।।”
--- অর্থাৎ কবি (১৩৯৫+৭৮) = ১৪৭৩ খ্রিষ্টাব্দে কাব্য রচনা শুরু করেন এবং (১৪০২+৭৮)=১৪৮০ খ্রিষ্টাব্দে গ্রন্থ রচনা শেষ করেন ।

কাব্য প্রকাশকালঃ
        ১৮৮৭ খ্রিষ্টাব্দে কেদারনাথ দত্তের সম্পাদনায় ‘শ্রীকৃষ্ণ বিজয়’ প্রথম মুদ্রিত রূপে প্রকাশিত হয় ।

রসগ্রাহীতাঃ
        ‘শ্রীকৃষ্ণ বিজয়’ পাঁচালী বর্ণনাময় বীর রসাত্মক আখ্যান জাতীয় গেয় কাব্য । এই গ্রন্থে অনেক রাগ রাগিনীর উল্লেখ আছে । ‘শ্রীকৃষ্ণ বিজয়ে’র গোড়ার দিকে প্রধানত ভাগবত অনুসারে কৃষ্ণলীলা বর্নিত । কাব্যের মুখ্য রস মধুর নয়, কৃষ্ণের বাল্যলীলার বাৎসল্য রসই প্রধান হয়ে উঠেছে ।

‘শ্রীকৃষ্ণ বিজয়’ কাব্যের উপজীব্য বিষয়ঃ
        ‘শ্রীকৃষ্ণবিজয়' কাব্যের উপজীব্য শ্রীকৃষ্ণের বীরত্ব ও তাঁর কীর্তিকথা। শ্রীকৃষ্ণের কীর্তিকলাপ বর্ণনা করে ধর্মীয় আদর্শে মানুষকে অন্ধকুসংস্কার, অবিদ্যা ও মূঢ়তা থেকে উদ্ধার করতে এই কাব্যে প্রয়াসী কবি মালাধর বসু।

কাব্য পরিচয়ঃ
        ভাগবতে দশমস্কন্ধে কৃষ্ণের জন্ম থেকে দ্বারকালীলা পর্যন্ত শাস্ত জীবনকাহিনি এবং একাদশ স্কন্ধে যদুবংশ ধ্বংস, কৃষ্ণের দেহত্যাগ ও উদ্ধবের কথোপকথনের মাধ্যমে জ্ঞান, কর্মভক্তি ও মুক্তির নানা তত্ত্বজ্ঞান প্রকাশ পেয়েছে। মালাধর ভাগবতের এইসব ভগ্নাংশকে বাদ দিয়ে কেবল কাহিনি অংশটুকু গ্রহণ করেছেন। আসল কথা, কৃষ্ণের জন্ম থেকে দেহত্যাগ পর্যস্ত কৃষ্মলীলার সামগ্রিক জীবনী মালাধর বসু জনচিত্তের উপযোগী করে রচনা করেছেন।

কাহিনী বিন্যাসে মৌলিকতাঃ
        শ্রীকৃষ্মবিজয়ের তিনটি পর্বে বিন্যস্ত কাহিনিবিন্যাসে মৌলিকতা রয়েছে। আদ্যকাহিনি বা বৃন্দাবন লীলায় বসুদেব ও কংসের ভগিনী দেবকীর বিবাহ, দেবকীর অষ্টম গর্ভে কৃষ্ণের জন্ম, নন্দালয়ে কৃষ্ণের লালন-পালন, ইন্দ্ৰযজ্ঞ নিষেধ, রাস অনুষ্ঠান, কংস কর্তৃক কৃষ্ণবধের মন্ত্রণা ও কৃষ্ণ বলরামে। মথুরা গমন স্থান পেয়েছে। মধ্য কাহিনি বা মথুরালীলায় কংসবধ থেকে দ্বারকা গমন পর্যন্ত কাহিনি। অন্তকাহিনি বা দ্বারকা লীলায় কৃষ্ণের রুক্মিণীহরণ, সত্যভামার সঙ্গে কৃষ্ণের বিবাহ, ঊষার সঙ্গে অনিরুদ্ধের বিবাহ, জরাসন্ধ বধ, সুভদ্রা হরণ, দ্বারকাপুরী ধ্বংস ও কৃষ্ণের দেহত্যাগ প্রভৃতি স্থান পেয়েছে।

পৌরানিক প্রভাবঃ
        আপন রচনাকে বৈচিত্র্যদান করার জন্য মালাধর ভাগবত বহির্ভূত নানা কাহিনিকে প্রয়োজনমতো গ্রহণ করেন। সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যে পণ্ডিত মালাধর মহাভারতের সভাপর্ব, হরিবংশ ও বিষ্ণুপুরাণ, লিঙ্গপুরাণ ও যোগশাস্ত্র থেকেও অংশবিশেষ কাহিনি নিয়েছেন। তাই সব মিলিয়ে শ্রীকৃষ্ণবিজয় একটি স্বতন্ত্র কাব্য হয়ে উঠেছে।

কাব্য রচনার উদ্দেশ্যঃ
        তুর্কি আক্রমণে বিধ্বস্ত অধঃপতিত ও ক্ষয়িষ্ণু বাঙালি সমাজকে একটা সমুচ্চ আদর্শের ওপর দাঁড় করাবার জন্য শ্রীকৃষ্ণের বীরমূর্তি অঙ্কনে মালাধর বসু প্রয়াসী হন।


‘শ্রীকৃষ্ণ বিজয়’ কাব্যের গুরুত্বঃ
        মালাধর বসু ভাগবতের কাহিনির বাঙালি রুচিসম্মত সূক্ষ্ম রূপান্তরের মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষায় শক্তিবৃদ্ধি ও বাঙালির রসানুভূতিকে দৃঢ় করে গেছেন। সেদিক থেকে বাংলা সাহিত্যের ক্রমবিকাশে মালাধর বসুর ‘শ্রীকৃষ্ণবিজয়' কাব্যটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।

বৈষ্ণব সমাজের উপনিষদঃ
        একদা মালাধর বসু বিরচিত 'শ্রীকৃষ্ণবিজয়' কাব্যকে সাধারণ বৈব সমাজ ‘উপনিষদ' বলে মনে করত। এরই সাহায্যে ভাগবতোক্ত কৃষ্ণকথা শুধু বৈঘ্নব সমাজেই নয়, সমগ্র বাঙালি সমাজে প্রচারিত হয়েছিল। শ্রীচৈতন্য যে তত্ত্ব, নীতি ও ভক্তিবাদ প্রচার করেছিলেন, মালাধর বসু তারই সূচনা করেন।

মূল ভাগবতের সাথে পার্থক্যঃ
        মূল ভাগবতের তুলনায় মালাধর বসু অধিক জীবনসচেতন ও সৌন্দর্যপিয়াসী। তাই তাঁর বর্ণনায় পূর্বতন বিষয় স্বচ্ছন্দ, সাবলীল ও আলংকারিক সুষমায় প্রদীপ্ত হয়ে উঠেছে।

মালাধর বসুর কবিত্ব শক্তির পরিচয়ঃ
        কবি ভক্তিপ্রকাশে যতটা আগ্রহী ছিলেন, ততটা রচনা সৌকর্যের দিকে দৃষ্টি দেননি। তবুও অনুগ বিষয়াদির বর্ণনায় কোথাও মালাধরের স্বতঃস্ফূর্ত কল্পনাশক্তি আবেগের গীতিমূৰ্চ্ছনায় রসমণ্ডিত হয়ে উঠেছে। মালাধর বসু ভাগবতের আক্ষরিক অনুবাদ করেননি। যেখানে তাঁর স্বকীয়তা প্রাধান্য পেয়েছে সেখানেই রচনা কল্পনাশক্তির পরশমণিতে উজ্জ্বল।

বৈষ্ণব পদাবলীর যুগে জনপ্রিয় না হওয়ার কারণঃ
        ভাগবতের আখ্যান অবলম্বনে স্বাধীন ধরনের যেসব কাব্য রচিত হয় তাতে কোনো উচ্চতর প্রতিভাশালী কবির আবির্ভাব ঘটেনি। তাই উন্নততর ভাবকল্পনা ও ভক্তিরসের নিবিড়তার অভাবে ভাগবতের অনুবাদ জনগণের কাছে তেমন জনপ্রিয়তা অর্জন করেনি। তা ছাড়া ভাগবতে কৃষ্ণের ঐশ্বর্যময় বর্ণনা গৌড়ীয় বৈষ্ণুব সমাজ ও সাধারণ মানুষের মনের অনুপযোগী। মহাপ্রভুর আবির্ভাবে সমাজে ভাবের যে বিপুল প্লাবন আসে—তার স্বতঃস্ফূর্ত কাব্যিক অভিব্যক্তি ঘটেছে বৈষ্ণুব পদাবলিতে। পদাবলির যুগে রচিত ভাগবতের অনুবাদগুলি তাই জনপ্রিয় না হওয়ারই কথা।

ভাগবত অনুবাদ বাংলা দেশে জনপ্রিয় না হওয়ার কারণঃ
(ক) অনুবাদের ক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণির কবিপ্রতিভার আবির্ভাব হয়নি। ফলে আপামর জনসাধারণ এর প্রতি বিশেষ আকর্ষণবোধ করেননি।
(খ) চৈতন্যযুগে বৈশ্বব পদশাখা রচনা সৌকুমার্যে ও ভক্তির প্রগাঢ়তায় প্রাধান্য লাভ করে। ভাগবতের ঘটনা বিবৃতি পদাবলিতে গীতিরসার্দ্র হয়ে একটা অনন্য রোমান্টিক ঐশ্বর্যলাভ করেছে।
(গ) ভাগবতে ঐশ্বর্যভাবেরই প্রাধান্য। অনুবাদকগণ যদিও দশম-দ্বাদশ স্কন্ধ অবলম্বনে কৃষ্ণকাহিনি বর্ণনা করেছিলেন, কৃষ্ণের ওই লীলাকে অস্বীকার করতে পারেননি। ভাগবতের অনুবাদ বৈষ্ণুব সমাজে প্রত্যাশিত জনপ্রিয়তা পায়নি।


এক নজরে মালাধর বসু


1. ভাগবত পুরাণের আদি অনুবাদক মালাধর বসু ।
2. মালাধর বসু প্রাক চৈতন্য যুগের / পঞ্চদশ শতাব্দীর কবি ।
3. মালাধর বসুর পিতার নাম ভগীরথ বসু । মাতার নাম ইন্দুমতী।
4. মালাধর বসু পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার মেমারি রেল স্টেশানের নিকটবর্তী কুলীন গ্রামের কায়স্থ বংশে জন্মগ্রহন করেন।
5. কবির পুত্র রামানন্দ বসু (সত্যরাজ খান) চৈতন্যের ভক্ত ও পার্ষদ ছিলেন ।
6. গৌড়েশ্বর সামসুদ্দিন ইউসুফ শাহ ( মতান্তরে রুকনুদ্দিন বারবক শাহ ) কবিকে ‘গুণরাজ খাঁন’ উপাধি দান করেন ।
7. ভাগবতে শ্রীকৃষ্ণের জীবন মাহাত্ম বর্নিত হয়েছে ।
8. ভাগবত ১২টি স্কন্ধে বিভক্ত ।
9. মালাধর বসুর ‘শ্রীকৃষ্ণ বিজয়’ গ্রন্থটি বৈষ্ণব সমাজের উপনিষদ নামে পরিচিত ।
10. আদি মধ্য যুগের বাংলা সাহিত্যে দ্বিতীয় অনুবাদ গ্রন্থের নাম মালাধর বসুর ‘শ্রীকৃষ্ণ বিজয়’ ।
11. ‘শ্রীকৃষ্ণ বিজয়’ কাব্যটির অন্য নাম - ‘গোবিন্দ বিজয়’, ‘গোবিন্দ মঙ্গল’, ‘গেবিন্দ বিক্রম’ ।
12. ভাগবতের দশম ও একাদশ স্কন্ধের অনুবাদ ‘শ্রীকৃষ্ণ বিজয়’ ।
13. অনেক সাহিত্য সমালোচন মনে করেন মালাধর বসুর ‘শ্রীকৃষ্ণ বিজয়’ কাব্যের দুটি খন্ডঃ ‘শ্রীকৃষ্ণ বিজয়’ ও ‘শ্রীকৃষ্ণ মঙ্গল’ ।
14. ‘শ্রীকৃষ্ণ বিজয়’ কাব্যে কৃষ্ণের জন্ম থেকে দেহত্যাগ পর্যন্ত কাহিনী বর্ণিত হয়েছে ।
15. ‘শ্রীকৃষ্ণ বিজয়’ তিনটি পর্বে বিভক্ত । আদ্য কাহিনী বা কৃষ্ণের বৃন্দাবন লীলা, মধ্য কাহিনী বা মথুরা লীলা , অন্ত কাহিনী বা দ্বারকালীলা ।
16. মালাধর বসু ১৪৭৩ - ১৪৮০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে তার কাব্য রচনা সম্পূর্ন করেন ।
17. ‘শ্রীকৃষ্ণ বিজয়’ কাব্যের ‘নন্দের নন্দন কৃষ্ণ মোর প্রাননাথ’ - এ্ই লাইনটি চৈতন্যদেবের খুব প্রিয় ছিল ।
18. মালাধর বসুর ‘শ্রীকৃষ্ণ বিজয়’ কাব্যের উল্লেখ পাওয়া যায় কৃষ্ণদাস কবিরাজের ‘চৈতন্যচরিতামৃত’ এবং জয়ানন্দের ‘চৈতন্যমঙ্গল’ কাব্যে ।
19. মালাধর বসুর ‘শ্রীকৃষ্ণ বিজয়’ গ্রন্থে ‘হরি বংশ’, ‘বিষ্ণু পুরাণ’, ‘লিঙ্গপুরাণ’, ‘যোগশাস্ত্র’, ‘মহাভারতের সভা পর্বের’ প্রভাব আছে।
20.রামায়ণ থেকে কোনো কাহিনী তিনি গ্রহন করেন নি ।
21. ‘শ্রীকৃষœ বিজয়’ কাব্যের ‘বিজয়’ শব্দের অর্থ শ্রীকৃষ্ণের গৌরব কাহিনী , শোভাযাত্রা, বা মঙ্গল ।
22. ১৮৮৭ খ্রিষ্টাব্দে কেদারনাথ দত্তের সম্পাদনায় ‘শ্রীকৃষ্ণ বিজয়’ প্রথম মুদ্রিত রূপে প্রকাশিত হয় ।

No comments