Page Nav

HIDE

Classic Header

{fbt_classic_header}

NEW :

latest

রবীন্দ্র কাব্য পরিক্রমা (পর্ব - ০১) :

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাধারে কবি, ছড়াকার, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, নাট্য পরিচালক, অভিনেতা, গীতিকার, প্রাবন্ধিক, চিত্রশিল্পী, শিক...


বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাধারে কবি, ছড়াকার, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, নাট্য পরিচালক, অভিনেতা, গীতিকার, প্রাবন্ধিক, চিত্রশিল্পী, শিক্ষক, শিক্ষাচিন্তক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা আরও কত কী! তাঁর মানবতাবাদী সর্বজনীন চিন্তাধারা কেবল দেশবাসীকেই নয়, বিশ্ববাসীকেও সমৃদ্ধ করেছে। কথাকার শরৎচন্দ্র তাই যথার্থই বলেছেন,

“কবিগুরু, তোমার প্রতি চাহিয়া আমাদের বিস্ময়ের সীমা নাই........।”

   পরিচয় ;   
    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ (৭ মে ১৮৬১) জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার পিতা ছিলেন ব্রাহ্ম ধর্মগুরু দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরএবং মাতা ছিলেন সারদাসুন্দরী দেবী । রবীন্দ্রনাথ ছিলেন পিতামাতার চতুর্দশ সন্তান। বাল্যকালে প্রথাগত বিদ্যালয়-শিক্ষা তিনি গ্রহণ করেননি; গৃহশিক্ষক রেখে বাড়িতেই তার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল । অল্পবয়স থেকেই ঠাকুরবাড়ি থেকে প্রকাশিত ভারতী ও বালক পত্রিকায় নিয়মিত লিখতেন। দীর্ঘ জীবনে অজস্র কবিতা, গান, ছোটোগল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ লিখেছেন, ছবি এঁকেছেন। এশিয়ার মধ্যে তিনিই প্রথম নোবেল পুরস্কার পান ১৯১৩ সালে 'Song Offerings' এর জন্যে। দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র ভারত আর বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত তাঁর রচনা। কবির প্রথম জীবনে লেখা কাব্যগ্রন্থগুলি হলো – ‘সন্ধ্যাসঙ্গীত’, ‘প্রভাতসঙ্গীত’, ‘ছবি ও গান’, ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী’ এবং ‘কড়ি ও কোমল’। ১৮৮৮ থেকে ১৮৯৬ – মাত্র আট বছরে কবি প্রতিভার যে অভূতপূর্ব বিকাশ ঘটেছে তারই চিহ্ন সুমুদ্রিত এই পর্বের চারখানি - কাব্যগ্রন্থে – ‘মানসী’, ‘সোনারতরী’, ‘চিত্রা’ও ‘চৈতালি’তে। এই পর্বের কাব্যগুলিতে কবির আত্মোপলব্ধিই শুধু নয়, তাঁর কাব্যে নির্মাণ কৌশলেরও যথেষ্ট পরিচয় পাওয়া যায়। আবেগ, গভীর আত্মপ্রত্যয়, জীবন জিজ্ঞাসা, কল্পনার পক্ষ বিস্তার, শিল্পরূপ নির্মাণে দক্ষতা, ভাষা ও ছন্দের ওপর আধিপত্য প্রভৃতি কবির যাবতীয় গুণাবলির প্রকাশ ঘটেছে এই পর্বের কবিতাবলিতে।  ‘পুনশ্চ’ থেকে রবীন্দ্রকাব্যের শেষ পর্বের শুরু। এ পর্বের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলি হলো ‘শেষ সপ্তক’, ‘প্রান্তিক’, ‘নবজাতক’, ‘সানাই’, ‘রোগশয্যায়’, ‘আরোগ্য’ইত্যাদি। ২২ শ্রাবণ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দে (৭ আগস্ট ১৯৪১) কবি পরলোক গমণ করেন ।

  কাব্য পরিচয় :  
        রবীন্দ্রনাথ ও তার সৃষ্টি যুগ থেকে যুগান্তরে অবদান রেখেছে গেছে। তার জন্মলগ্ন থেকে সাহিত্যের দরবারে আগমন এবং সূচনাপর্ব দিয়ে জীবন সূচিত হলেও শেষ প্রশ্নের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটেছে। সূচনা পর্বের রচনাগুলি হল :
(a) রবীন্দ্রনাথের প্রথম প্রকাশিত রচনা  ‘অভিলাষ’(কবিতা) । কবিতাটি  ১৮৭৪ সালে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় প্রকাশিত হয়
(b) ১৮৭৫ সালে বার্ষিক হিন্দুমেলা উৎসব উপলক্ষ্যে ‘হিন্দুমেলার উপহার’কবিতাটি রচনা করেন। কবিতাটি ‘অমৃতবাজার পত্রিকা’য় প্রকাশিত হয় 
(c) ১৮৭৭ সালে ‘ভারতী’ পত্রিকায়  ‘মেঘনাদবধ কাব্যের সমালোচনা’, ভানুসিংহ-ভণিতাযুক্ত রাধাকৃষ্ণ-বিষয়ক কবিতাগুচ্ ‘র মত রবীন্দ্রনাথের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রচনা প্রকাশিত হয়। 
--- এই রচনাগুলিতে বিহারীলাল চক্রবর্তী, অক্ষয়চন্দ্র চৌধুরী প্রমুখ কবির প্রভাব লক্ষ করা যায় বলে কবি নিজেই এগুলিকে বলেছেন ‘কপিবুকের কবিতা'।


    পর্ববিভাগ :   
    রবীন্দ্রনাথের রচিত মোট বাংলা কাব্যগ্রন্থ - ৫৬ টি । রচনাকাল ও বিষয়গত দিক দিয়ে এই কাব্যগুলি বেশকয়েকটি পর্বে ভাগ করে আলোচনা করা যেতে পারে :
  • কৈশোর পর্ব / সূচনা পর্ব (১৮৭৮-১৮৮১)
  • উন্মেষ পর্ব (১৮৮২-১৮৮৬)
  • ঐশ্বর্য পর্ব (১৮৯০-১৮৯৬)
  • অন্তর্বর্তী পর্ব (১৮৯৯-১৯১০)
  • গীতাঞ্জলি পর্ব (১৯১০-১৯১৪)
  • বলাকা পর্ব (১৯১৬-১৯২৯)
  • অন্তরাগ পর্ব (১৯৩০-১৯৩৭)
  • গোধুলী পর্ব (১৯৩৮-১৯৪১)
   [1] কৈশোর পর্ব (১৮৭৮ - ৮১ খ্রি.):   
       রবীন্দ্রনাথের যখন সাত আট বছর বয়স তখন থেকে তাঁর কবিতা লেখার সূত্রপাত। প্রথম জীবনে রবীন্দ্রনাথ খণ্ড কবিতা এবং গাথাকাব্য দুই-ই রচনা করেছেন। একেবারে প্রথম দিকের অমুদ্রিত রচনাগুলির কোনাে অস্তিত্ব আজ আর নেই। সুতরাং, কৈশোরপর্বের (১৮৭৮-১৮৮১ খ্রি.) রবীন্দ্রকবিতার পরিচয় নিতে হবে তার মুদ্রিত রচনাবলি থেকেই।
   সময়কাল :    রবীন্দ্রকাব্য পরিক্রমার প্রথম তিন বছরকে শৈশব বা 'সূচনা পর্ব আখ্যা দেওয়া হয়। ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে  খ্রিস্টাব্দের মধ্যেই এই পর্বের পূর্ণ বিকাশ।

  কাব্যগ্রন্থ :  
  • ‘কবিকাহিনী’ (১৮৭৮)
  • ‘বনফুল’ (১৮৮০),
  • ‘ভগ্নহৃদয়’ (১৮৮১) ।

   মনে রাখার কৌশল :     কৈশোর পর্বে : কবি কাহিনী সংগ্রহের জন্য বনফুলের বাড়িতে গেলেন । কিন্তু সেখানে কোনো  সাহায্য না পাওয়ায় ভগ্নহৃদয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন ।
কবি কাহিনী = ‘কবিকাহিনী’ (১৮৭৮),
বনফুলের বাড়িতে = ‘বনফুল’ (১৮৮০),
ভগ্নহৃদয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন = ‘ভগ্নহৃদয়’ (১৮৮১) ।

আলোচনা :  
  (১) ‘কবিকাহিনী’ :  
  • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একটি বাংলা কাব্যগ্রন্থ ‘কবিকাহিনী’।
  • কাব্যটি কবির ষোল বছর বয়সে ১৮৭৮ সালে প্রকাশিত হয়।
  • ‘কবিকাহিনী’-ই রবীন্দ্রনাথের প্রথম মুদ্রিত কাব্যগ্রন্থ।
  • এই কাব্যের কবিতাগুলি "ভারতী" পত্রিকায় ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হয়।
  • রবীন্দ্রনাথের বন্ধু প্রবোধচন্দ্র ঘোষ এই গ্রন্থটির গ্রন্থটির প্রকাশক ছিলেন ।
  • কাব্যটি অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত ।
  • চার সর্গে রচিত এই কাব্যের নায়ক কবি এভং নায়িকা নলিনী ।
  • নলিনীর মৃত্যুর পর নায়ক কিবর বিশ্রপ্রেমের উপলব্ধিতে কাব্যের পরিসমাপ্তি ঘটেছে ।

  (২) ‘বনফুল’ :  

  • রবীন্দ্রনাথের প্রথম কাব্য ‘বনফুল’ ।
  • কাব্যটি  জ্ঞানাঙ্কুর পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
  • রবীন্দ্রনাথ ১৫ বছর বয়সে ‘বনফুল’ কাব্য রচনা করেন ।
  • এই কাব্যটি ‘কবি কাহিনী’ রচনা করার আগেই রচনা করেন ।
  • বনফুল কাব্যগ্রান্থটি প্রকাশিত হয় ১৮৮০ সালে ।
  • উনিশ বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথের ‘বনফুল’ কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ।
  • এই কাব্যটি ‘সূচন ‘ পর্বের অন্তর্গত প্রথম সম্পূর্ণ কাব্যগ্রন্থ ।

  (৩) ‘ভগ্নহৃদয়’ :  
  • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একটি বাংলা কাব্যগ্রন্থ ‘ভগ্নহৃদয়’ ।
  • কাব্যটি ১৮৮১ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয় ।
  • কাব্যটি ৩৪টি সর্গে বিভক্ত ।
  • লন্ডন ভ্রমণকালে রবীন্দ্রনাথ এই কাব্যটি রচনা করেন ।
  • ‘ভগ্নহৃদয়’ কাব্যগ্রন্থটি - কাদম্বরী দেবীকে উৎসর্গ করেন ।
  • এটি একটি গীতিকাব্য ।
  • ‘ভগ্নহৃদয়’ কাব্যে বিহারীলাল চক্রবর্তীর প্রভাব পরিলক্ষিত হয়।

     ‘সূচনা পর্বের’ কাব্যের বৈশিষ্ট্য :      
        ‘সূচনা পর্বের’ অধিকাংশ কাব্যই রোমান্টিক, গীতিধর্মী উচ্ছ্বাসপূর্ণ আখ্যান কাব্য ; সে আখ্যান প্রায়ই ব্যর্থ প্রেমে পরিণত হয়েছে এবং সে ব্যর্থ প্রেমের নায়ক হচ্ছেন একজন কবি। এই কবির মধ্য দিয়ে আমাদের কিশোর কবি অপরিণত বয়সের ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষার পরিপূর্ণতা কামনা করেছেন।


   [2] উন্মেষ পর্ব (১৮৮২ - ৮৬ খ্রি.):   
   সময়কাল :    ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত চার বৎসরের মধ্যে কবির যে কাব্যগুলি প্রকাশিত হয়, সেই কাব্যগুলির সময় কালকে ‘উন্মেষ পর্ব' আখ্যা দিতে পারি ।

  কাব্যগ্রন্থ :  
  • ‘সন্ধ্যা সংগীত’ (১৮৮২)
  • ‘প্রভাত সংগীত’ (১৮৮৩),
  • ‘ছবি ও গান’ (১৮৮৪),
  • ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী ‘(১৮৮৪),
  • ‘শৈশব সংগীত’ (১৮৮৪),
  • ‘কড়ি ও কোমল’ (১৮৮৬) ।

   মনে রাখার কৌশল :    উন্মেষ পর্বে : সন্ধ্যা বেলায় প্রভাতদের বাড়িতে ছবি আঁকা ও গানের মাস্টার ভানুসিংহ ঠাকুর আসতেন । একদিন যদি আঁকতে বসতে না চাইতো তাহলে শৈশবে কড়ি ও কোমলের সাথে কান ধরে শাস্তির কথা মনে করিয়ে দিতেন । 
সন্ধ্যাবেলায় = ‘সন্ধ্যা সংগীত’ (১৮৮২),
প্রভাতদের বাড়িতে = ‘প্রভাত সংগীত’ (১৮৮৩),
ছবি আঁকা ও গানের মাস্টার = ‘ছবি ও গান’ (১৮৮৪),
ভানুসিংহ ঠাকুর = ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী ‘(১৮৮৪),
শৈশবে = ‘শৈশব সংগীত’ (১৮৮৪),
কড়ি ও কোমলের সাথে = ‘কড়ি ও কোমল’ (১৮৮৬) ।

  আলোচনা :  
  (১) ‘সন্ধ্যাসঙ্গীত’ :  
  • ‘উন্মেষ পর্বের ’ প্রথম কাব্যগ্রন্থ ।
  • কাব্যটি  ১৮৮২ সালে প্রকাশিত হয়।
  • ‘এই কাব্যে  ২৫টি কবিতা থাকলেও পরে ৩টি কবিতাকে বাদ দেওয়া হয়েছে ।
  • এই কাব্যের কবিতাগুলির মূল সুর রোমন্টিক বেদনাবোধ ও অপরিমিত শূণ্যতা ।
  • ‘জীবনস্মৃতি’ গ্রন্থে এই কাব্যের উল্লেখ আছে ।
  • ‘এই কাব্য লেখার পর বঙ্কিমচন্দ্রের অভিনন্দন পান ।

  (২) ‘প্রভাত সংগীত’ :  
  • উন্মেষ পর্বের দ্বিতীয় কাব ‘প্রভাত সংগীত’ ।
  • কাব্যটি  ১৮৮৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়।
  • এই কাব্যে ১৩টি কবিতা রয়েছে ।
  • এই কাব্যের বিখ্যাত কবিতা - ‘নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ’ ।
  • এই কাব্যটি দশ বছরের ভ্রাতুস্পুত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা দেবীকে উৎসর্গ করেন ।
  • এই কাব্যের উল্লেখযোগ্য কবিতা - ‘হৃদয় আজিকে মোর কেমনে গেল খুলি / জগৎ আসি সেথা করিছে কোলাকুলি ।”
  • মোহিতলাল এই কাব্যের কবিতাগুলিকে ‘নিস্ক্রমণ’ নাম দিয়েছেন ।

  (৩) ‘ছবি ও গান’ :  
  • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একটি বাংলা কাব্যগ্রন্থ ‘ভগ্নহৃদয়’ ।
  • কাব্যটি ১৮৮১ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয় ।
  • মানব জীবনের হাসি কান্নার কাহিনী এই কাব্যের মূল বিষয় ।
  • কবির কিশোর বয়সের লেখা সংকলন ।

  (৪) ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী’ :  
  • কাব্যটি  ১৮৮৪ সালে প্রকাশিত হয়।
  • ‘এই কাব্য ব্রজবুলি ভাষায় রচিত ।
  • এই কাব্যের কবিতাগুলি বৈষ্নব কবিদের অনুসরণে রচনা ।
  • ‘ভানুসিংহ ঠাকুর’ ছদ্মনামে এই কাব্যের কবিতাগুলি রচনা করেন ।
  • কাব্যটি কাদম্বরী দেবীকে উৎসর্গ করেন ।

  (৫) ‘শৈশব সংগীত’ :  
  • কাব্যটি  ১৮৮৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়।
  • কাব্যটি কাদম্বরী দেবীকে উৎসর্গ করেন ।
  • এই কাব্যে রয়েছে আবেগ সমৃদ্ধতা ।

  (৬) ‘কড়ি ও কোমল’ :  
  • ‘কড়ি কোমল কাব্যটি ১৮৮৬ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয় ।
  • ‘‘মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে / মানবের মাঝে আমি বাঁচিবাৰে চাই " - এই কাব্যের বিখ্যাত লাইন ।
  • কাব্যটি সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরকে উৎসর্গ করেন ।
  • কবি নবযৌবনের দূত হয়ে এই কাব্যে হাজির হয়েছেন ।
  • রমনী দেহের নগ্ন সৌন্দর্যের বর্ণনা কবি এই কাব্যে দিয়ছেন ।
  • বৌদি কাদম্বরী দেবীর অস্বাভাবিক মৃত্যুজনিত যন্ত্রনা এই কাব্যে প্রকাশ পেয়েছে ।

     ‘উন্মেষ পর্বের’ কাব্যের বৈশিষ্ট্য :      
        ‘উন্মেষ পর্বে’ রবীন্দ্রনাথ অস্ফুটভাব ও তরল আবেগের পিচ্ছিল পথ ছেড়ে স্বকীয় ভাবভাবনার মধ্যে সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠিত হলেন। কবি রোমান্টিক মহাকাশ সজ্ঞারণ পরিত্যাগ করে পৃথিবীর মাটিতে নেমে এলেন এবং এই পর্ব থেকেই তাঁর কাব্যধারার যথার্থ বিকাশ শুরু হল। এদিক দিয়ে সন্ধ্যাসংগীত’ ও ‘প্রভাতসংগীত’ দুখানি কাব্য উল্লেখ যোগ্য ।

                 পরবর্তী অংশ   ‘রবীন্দ্র কাব্য পরিক্রমা (পর্ব - ০২)’                  

No comments