Page Nav

HIDE

Classic Header

{fbt_classic_header}

NEW :

latest

সমরেশ বসু : অনন্য জীবনের গল্প ।

সমকালীন দেশভাগ, দাঙ্গা, উদ্বাস্তু জীবনের চিত্র যে লেখকের রচনায় প্রধানভাবে প্রকাশ পেয়েছে, তিনি হলেন সমরেশ বসু । সাধারন মানুষের জীবন সংগ্রাম ত...



সমকালীন দেশভাগ, দাঙ্গা, উদ্বাস্তু জীবনের চিত্র যে লেখকের রচনায় প্রধানভাবে প্রকাশ পেয়েছে, তিনি হলেন সমরেশ বসু । সাধারন মানুষের জীবন সংগ্রাম তাঁর রচনার প্রধান কাঁচামাল । তিনি দায়বদ্ধ শিল্পি । ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে ২২ নভেম্বর 'দেশ' পত্রিকায় জানিয়েছেন—
‘সাহিত্যের যা কিছু দায়, সে তো জীবনের কাছে। সাহিত্যের থেকে জীবন বড়ো। এ সত্যের জন্য সাহিত্যিককে গভীর অনুশীলন করতে হয় না, তা সততই অতি জীবন্ত ।‘

    পরিচয় :   
        বাংলাদেশের ঢাকার রাজানগরে সমরেশ বসু (১৯২৪ - ১৯৮৮) জন্মগ্রহন করেন । পিতৃদত্ত নাম সুরথনাথ বসু। বন্ধু দেবশঙ্কর মুখোপাধ্যায় সে নাম বদলে নাম দিলেন ‘সমরেশ বসু'। তারপর থেকে সাহিত্যক্ষেত্রে ‘সমরেশ’ নামেই সুরথনাথের পথ চলা শুরু। কথা সাহিত্যিক সমরেশ বসুরই ছদ্মনাম ‘কালকূট’। সমরেশ ও কালকূট একই মানুষ। একই কয়েনের দুই পিঠ। এ পিঠ সমরেশ তো ও পিঠ কালকূট। একই সময়ে একই ব্যক্তি একই কলমে দুই রকম লেখা লিখে যাচ্ছেন। এটা রীতিমতো আশ্চর্যজনক!

   ছদ্মনাম :   

  • ‘কালকূট’
  • ‘ভ্রমর’ ।


    রচনাসমূহ :   
        সমরেশ বসু উপন্যাস, গল্প, ভ্রমণ সাহিত্য, কিশোর সাহিত্য রচনা করেছেন। উপন্যাসের সংখ্যাও শতাধিক এবং গল্পের সংখ্যা দ্বি-শতাধিক। 
    প্রথম রচনা :    
(a) পত্রিকায় প্রকাশিত প্রথম গল্প -- ‘শেষ সর্দার’ ।
(b)প্রথম মুদ্রিত গল্প - ‘আদাব’ (গল্পটি ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে 'পরিচয়’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ) ।
(c) প্রথম লিখিত উপন্যাস - ‘নয়নপুরের মাটি’ (১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয় ) ।
(d)  প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস - ‘উত্তরঙ্গ’ (১৯৫১) ।
(e) প্রথম মুদ্রিত গল্প সংকলন -- ‘মরশুমের একদিন’ ।

    শেষ রচনা :    
        সমরেশ বসুর সর্বশেষ উপন্যাস “দেখি নাই ফিরে" যা তিনি সমাপ্ত করতে পারেননি। এটি শিল্পী রামকিঙ্কর বেইজকে নিয়ে লেখা। তিনি উপন্যাসটি ধারাবাহিক 'দেশ' পত্রিকায় লিখতে শুরু করেছিলেন। পাঁচটি পর্বের নামকরণও করেছিলেন এই রকম, ‘আরক্ত ভোর', 'সকালের ডাক– বিশ্বঅঙ্গনে', 'রৌদ্রদগ্ধ দীর্ঘ বেলা', 'ছায়া দীর্ঘতর' এবং 'অন্ধকারের আলো'। রামকিঙ্করের জীবনের গতি ও চলন অনুযায়ী ওই নামকরণ ও পর্বভাগ। পরে অবশ্য অসমাপ্ত অবস্থায় 'আনন্দ পাবলিশার্স' থেকে গ্রন্থাগারে প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে পুত্র নবকুমার বসু লেখাটিকে সমাপ্ত করেন ।

    উপন্যাসসমূহ :    
  •  'উত্তরঙ্গ’ (১৯৫১)
  • ‘নয়নপুরের মাটি’ (১৯৫২)
  • ‘ বি. টি. রোডের ধারে' (১৯৫২), 
  • ‘শ্রীমতী কাফে' (১৯৫৩), 
  • 'সওদাগর' (১৯৫৫), 
  • 'গঙ্গা' (১৯৫৭), 
  • 'ত্রিধারা' (১৯৫৭), 
  • 'পুতুলের খেলা' (১৯৫৮), 
  • 'দুরন্ত চড়াই' (১৯৫৮), 
  • ‘বাঘিনী' (১৯৬০), 
  • 'ফেরাই' (১৯৬৪), 
  • 'শালঘেরির সীমানায়' (১৯৬৪), 
  • 'বিবর' (১৯৬৫), 
  • 'জগদ্দল' (১৯৬৬),
  •  প্রজাপতি' (১৯৬৭), 
  • ‘স্বীকারোক্তি' (১৯৬৭), 
  • 'পাতক' (১৯৬৯), 
  • 'সুচাদের স্বদেশযাত্রা' (১৯৬৯), 
  • 'মানুষ' (১৯৭০), 
  • 'যাত্রিক' (১৯৭০), 
  • ‘অবচেতন' (১৯৭০), 
  • 'বিশ্বাস' (১৯৭১), 
  • 'ওদের বলতে দাও' (১৯৭২), 
  • 'ছায়াঢাকা মন' (১৯৭২), 
  • 'পথিক' (১৯৭৩), 
  • 'পরম রতন' (১৯৭৩), 
  • 'মানুষ শক্তির উৎস' (১৯৭৪),
  • 'প্রাচীর' (১৯৭৪), 
  • 'বিজড়িত' (১৯৭৫), 
  • 'সংকট' (১৯৭৬),
  •  “মহাকালের রথের ঘোড়া' (১৯৭৭), 
  • 'শাম্ব' (১৯৭৮), 
  • 'গন্তব্য' (১৯৭৮), 
  • '‘টানাপোড়েন’ (১৯৮০), 
  • ‘বিপর্যস্ত' (১৯৮০), 
  • 'বিজনবিভুঁই' (১৯৮১), 
  • 'পুনর্যাত্রা' (১৯৮২), '
  • শেকল ছেঁড়া হাতের খোঁজে' (১৯৮৪), 
  • 'তিন পুরুষ' (১৯৮৬), 
  • 'পৃথা' (১৯৮৬), 
এছাড়াও অন্যান্য উপন্যাসগুলি হল : ‘আত্মজ’, ‘অগ্নিবিন্দু’, ‘রূপকথা’, ‘বান্দা', 'মিছিমিছি’, ‘মুখোমুখি ঘর’, ‘বন্ধ দুয়ার’, ‘রূপায়ণ', ‘অন্ধকার গভীর গভীরতর’, ‘ছিন্নবাধা’, ‘শেষ দরবার', 'দুই অরণ্য', 'ধূসর আয়না', 'স্বর্ণ পিঞ্জর’, ‘তিন ভুবনের পারে’, ‘ভানুমতী’, ‘অপরিচিত’, ‘অলিন্দ’, ‘তরাই’, ‘স্বর্ণচক্ষু', ‘রক্তিম বসন্ত’, ‘হারিয়ে পাওয়া', 'ম্যাকবেথ : রঙ্গমঞ্চ কলকাতা’, ‘যুগ যুগ জীয়ে', ‘অশ্লীল’, ‘দিগন্ত’, ‘বাথান', 'আমার আয়নার মুখ', 'এপার ওপার', ‘পদক্ষেপ’, ‘অলকা সংবাদ’, ‘নিষ্ঠুর দরদী’, ‘অবরোধ’, ‘অচিনপুর’, ‘দশদিন পরে’, ‘অবশেষে’, ‘লগ্নপতি’, ‘সবুজ বনে আগুন’, ‘হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা’, ‘সূর্যতৃষ্ণা’, ‘পরের ঘরে আপন বাসা’, ‘চৈতি’, ‘জীবন যখন একটাই’, ‘আকাঙ্ক্ষা’, ‘অয়নান্ত’, ‘আঁখির আলোয়’, ‘ভানুমতীর নবরঙ্গ’, ‘ছুটির ফাদে’, ‘যার যা ভূমিকা’, ‘একটি অস্পষ্ট স্বর', 'যৌবন', 'অসংশয়', ‘বিষের স্বাদ’, ‘বিকালে ভোরের ফুল', 'রামনাম কেবলম্', 'হৃদয়ের মুখ’, ‘'নাটের গুরু' প্রভৃতি।

    ভ্রমণ উপন্যাস :    
  • ‘অমৃতকুম্ভের সন্ধানে' (১৯৫৪), 
  • 'কোথায় পাব তারে' (১৯৬৮), 
  • 'আরবসাগরের জল লোনা' (১৯৭২), 
  • 'তুষার সিংহের পদতলে' (১৯৭৬), 
  • ‘মুক্তবেণীর উজানে' (১৯৮১), 
  • ‘চলো মন রূপনগরে' (১৯৮২), 
  • 'পুণ্যভূমে পুণ্যস্নান' (১৯৮৭) প্রভৃতি।
     ছদ্মনামে লেখা উপন্যাস :    
            সমরেশ বসু ‘কালকূট’ ও ‘ভ্রমর’ ছদ্মনামে বেশকিছু উপন্যাস রচনা করেন । 
   (a) ‘কালকূট’ ছদ্মনামে লিখিত উপন্যাস :    
  • ‘অমৃতকুম্ভের সন্ধানে’ (১৯৫৪)
  • ‘খুঁজি ফিরি সেই মানুষে’ (১৯৬০)
  • ‘স্বর্ণশিখর প্রাঙ্গনে’ (১৯৬৫)
  • ‘শাম্ব’ (১৯৭৮)

    (b) ‘ভ্রমর’ ছদ্মনামে লিখিত উপন্যাস :   
  • 'প্রথা' (১৯৮৬)
  • ‘আরব সাগরের জল নোনা' (১৯৭২) 
  • 'যুদ্ধের শেষ সেনাপতি'
  • 'অন্তিম প্রনয়' 
  • ‘প্রেম কাব্যরক্ত'

    উপন্যাসের শ্রেণীাবভাগ :    
        সমরেশ বসুর উপন্যাসগুলোকে কয়েকটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। যেমন—
   (ক) খেটে খাওয়া শ্রমিক সমাজের যন্ত্রণার আখ্যান :    
  • 'উত্তরঙ্গ' (১৯৫১), 
  • 'নয়নপুরের মাটি (১৯৫২), 
  • ‘বি. টি. রোডের ধারে' (১৯৫২), 
  • 'সওদাগর' (১৯৫৫), 
  • 'গঙ্গা' (১৯৫৭), 
  • 'দুরস্ত চড়াই' (১৯৫৮), 
  • 'গদ্দল' (১৯৬৬), 
  • 'টানাপোড়েন' (১৯৮০) ইত্যাদি।

   (খ) মধ্যবিত্তের পাপবোধ ও অপরাধবোধের আখ্যান :   
  •  'বিবর' (১৯৬৫), 
  • 'প্রজাপতি' (১৯৬৭), 
  • ‘পাতক' (১৯৬৯), 
  • 'বিশ্বাস' (১৯৭১) ইত্যাদি।

   (গ) সামাজিক অবক্ষয়ের আখ্যান:    
  • 'শ্রীমতী কাফে' (১৯৫৩), 
  • 'বাঘিনী' (১৯৬০) ইত্যাদি। 

   (ঘ) প্রেম, বিরহ, আত্মানুসন্ধানের আখ্যান :   
  • 'ত্রিধারা' (১৯৫৭), 
  • 'পুতুল খেলা' (১৯৫৮), 
  • 'ফেরাই' (১৯৬৪), 
  • 'শালঘেরির সীমানায়' (১৯৬৪), 
  • 'যাত্রিক' (১৯৭০), 
  • 'অবচেতন' (১৯৭০), 
  • 'পরম রতন' (১৯৭৩), 
  • 'প্রাচীর' (১৯৭৪), 
  • 'প্রথা' (১৯৮৬) ইত্যাদি।

    (ঙ) মানবিক মূল্যবোধের অনুসন্ধানের আখ্যান:     
  • ‘স্বীকারোক্তি' (১৯৬৭), 
  • 'মানুষ' (১৯৭০), 
  • 'মানুষ শক্তির উৎস' (১৯৭৪), 
  • 'মহাকালের রথের ঘোড়া' (১৯৭৭), 
  • 'সেকল ছেঁড়া হাতের খোঁজে' (১৯৮৪) ইত্যাদি।

    (চ) যান্ত্রিক জীবনের যন্ত্রণার আখ্যান :    
  •  'ওদের বলতে দাও' (১৯৭২), 
  • 'ছায়া ঢাকা মন' (১৯৭২),
  • ‘পথিক' (১৯৭৩), 
  • ‘বিজড়িত' (১৯৭৫), 
  • ‘সংকট' (১৯৭৬), 
  • 'গন্তব্য' (১৯৭৮), 
  • 'বিজন বিভূঁই' (১৯৮১) ইত্যাদি। 

    (ছ) ব্যক্তির সংগ্রামের আখ্যান :    
  •  'সুচাদের স্বদেশ যাত্রা (১৯৬৯), 
  • 'শাম্ব' (১৯৭৮), 
  • “বিপর্যস্ত’ (১৯৮০), 
  • 'পুনর্যাত্রা' (১৯৮২)
  • 'তিনপুরুষ' (১৯৮৬) ইত্যাদি।
   (জ) অসমাপ্ত জীবনী উপন্যাস:    
  • দেখি নাই ফিরে' [ পুত্র নবকুমার এটি সম্পূর্ণ করেছেন ।

   (ঝ) সমাজ জীবনের আখ্যান :   
  • যুগ যুগ জীয়ে' (১৯৮১)।

   ছোটোগল্প :   
    সমরেশ বসুর ছোটোগল্প সমরেশ বসু দায়বদ্ধ শিল্পী। ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে ২২ নভেম্বর 'দেশ' পত্রিকায় জানিয়েছেন—
‘সাহিত্যের যা কিছু দায়, সে তো জীবনের কাছে। সাহিত্যের থেকে জীবন বড়ো। এ সত্যের জন্য সাহিত্যিককে গভীর অনুশীলন করতে হয় না, তা সততই অতি জীবন্ত “
তাঁর উল্লেখযোগ্য ছোটোগল্পগ্রন্থ হল : 
  • ‘মরশুমের একদিন' (১৯৫৩), 
  • 'অকাল বৃষ্টি' (১৯৫৩), 
  • 'ঋতু' (১৯৫৩),
  •  'পশারিনী' (১৯৫৫),
  • ‘ষষ্ঠ ঋতু’ (১৯৫৬), 
  • 'ফুলবর্ষিয়া' (১৯৫৭),
  • 'মনোমুকুর' (১৯৫৮), 
  • ‘দেওয়াল লিপি' (১৯৫৯), 
  • ‘পাহাড়ী ঢল' (১৯৬১), 
  • 'সুবর্ণা' (১৯৬১), 
  • 'বনলতা' (১৯৬৭),
  • ‘পাপ পুণ্য' (১৯৬৭), 
  • ‘ছেঁড়া তমসুক’ (১৯৭১), 
  • ‘চেতনার অন্ধকার' (১৯৭২), 
  • 'ধর্ষিতা' (১৯৭২), 
  • ‘কামনা বাসনা' (১৯৭২), 
  • 'হ্রেষাধ্বনি' (১৯৭৩), 
  • ‘বিদ্যুল্লতা’ (১৯৭৪), 
  • 'রজকিনী প্রেম' (১৯৭৪), 
  • 'বনের সঙ্গে খেলা' (১৯৭৪), 
  • 'বিপরীত রঙ্গ' (১৯৭৫), 
  • ‘নাচঘর' (১৯৭৬), 
  • 'কীর্তিনাশিনী' (১৯৭৬), 
  • ‘কুন্তীসংবাদ' (১৯৭৬),
  • 'ছোট ছোট ঢেউ' (১৯৭৭),
  • ‘মাসের প্রথম রবিবার' (১৯৭৮), 
  • ‘আলোর বৃত্তে' (১৯৭৮),
  • 'অন্ধকারের গান' (১৯৮০), 
  • 'ও আপনার কাছে গেছে' (১৯৮০), 
  • ‘বিষয়মুক্ত’ (১৯৮০), 
  • ‘বিকেলে শোনা' (১৯৮০) ইত্যাদি।

     উপন্যাস সাহিত্যে গুরুত্ব :     
        বাংলা উপন্যাস সাহিত্যে সমরেশ বসুর অবদান অপরিসীম।
(১) সমরেশ বসু দায়বদ্ধ শিল্পী। তাঁর উপন্যাসে বাস্তব জীবন প্রত্যক্ষভাবে উপস্থিত হয়েছে।
(২) সমরেশ সমাজ ও শ্রেণি সচেতন ঔপন্যাসিক। 'বাঘিনী' উপন্যাস সমাজের পেটি বুর্জোয়ারা প্রধান চরিত্র হয়েছে।
(৩) সমরেশ বসু অনেক উপন্যাসে ইতিহাসের পটভূমিকায় নতুন জীবনের কথা নতুন কালের কথা বলেছেন।
(৪) অলৌকিক বিষয়ের মধ্যেও তিনি মনস্তাত্ত্বিক জটিলতা আনতে সক্ষম হয়েছেন। এ বিষয়ে তাঁর 'সেই মুখ' (১৯৫৬) উপন্যাসের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
(৫) ভ্রমণের অভিনব অভিজ্ঞতাকে তিনি কালকূট ছদ্মনামে লেখা ভ্রমণোপন্যাসে পরিস্ফুট করেছেন।
(৬) দ্বিধা-দীর্ণ সমস্যা জর্জরিত আধুনিক সমাজকে সমরেশ বসু তাঁর উপন্যাসে যথাযথভাবে উপস্থাপিত করেছেন।

    ছোটোগল্পে গুরুত্ব :    
বাংলা ছোটোগল্পের ইতিহাসে সমরেশ বসুর গুরুত্ব শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণীয় :
(১) সমরেশ বসু তাঁর ছোটোগল্পে রূঢ় বাস্তব জীবনকে যথাযথভবে পরিস্ফুট করেছেন।
(২) শ্রমিকদের প্রতি গভীর সহানুভূতি ও অন্তরের অনুরক্তি সমরেশ বসুর গল্পগুলোকে স্বতন্ত্র মূল্য দিয়েছে। 'জলসা' গল্পে দেখি শ্রমিক ছাঁটাইয়ে প্রসঙ্গ জলসার চাকচিক্যকে আড়াল করে দিয়েছে।
(৩) গল্পে রাজনৈতিক তত্ত্বকে সমরেশ বসু সার্থকভাবে প্রয়োগ করেছেন। 'কিমলিস' গল্পে দেখি বেচনের বস্তি জীবনের সঙ্গে সাম্যবাদী রাজনৈতিক তত্ত্বের অপূর্ব সমন্বয় ঘটেছে। 'প্রতিরোধ’ গল্পে এসেছে তেভাগা আন্দোলনের কৃষকদের মানসিক অবস্থা।
(৪) সমরেশ বসুর গল্পের আধুনিক জীবনের জটিল অস্থিরতার চিত্র যথাযথ ভাবে পরিস্ফুট হয়েছে।

No comments